দুনিয়া কি চিরকাল থাকার জায়গা ?


  দুনিয়া কি চিরকাল থাকার জায়গা ?   ________________________________

 লেখক : মুফতি শামছুল ইসলাম আল-হামিদী

     عن ابن عمر رضي الله عنهما ، قَالَ  :أخذ رسولُ اللهِ ﷺ بِمَنْكِبَيَّ ، فقال  :(( كُنْ في الدُّنْيَا كَأنَّكَ غَرِيبٌ ، أَو عَابِرُ سَبيلٍ )) .
وَكَانَ ابن عُمَرَ رضي الله عنهما ، يقول  :إِذَا أمْسَيتَ فَلاَ تَنْتَظِرِ الصَّبَاحَ ، وَإِذَا أَصْبَحْتَ فَلاَ تَنْتَظِرِ المَسَاءَ ، وَخُذْ مِنْ صِحَّتِكَ لِمَرَضِكَ ، وَمِنْ حَيَاتِكَ لِمَوْتِكَ . رواه البخاري .
قالوا في شَرْحِ هَذَا الحديث معناه  :لاَ تَرْكَنْ إِلَى الدُّنْيَا وَلاَ تَتَّخِذْهَا وَطَنا، وَلاَ تُحَدِّثْ نَفْسَكَ بِطُولِ البَقَاءِ فِيهَا ، وَلاَ بِالاعْتِنَاءِ بِهَا ، وَلاَ تَتَعَلَّقْ مِنْهَا إِلا بِمَا يَتَعَلَّقُ بِهِ الْغَريبُ في غَيْرِ وَطَنِهِ ، وَلاَ تَشْتَغِلْ فِيهَا بِمَا لاَ 
يَشْتَغِلُ بِهِ الغَرِيبُ الَّذِي يُريدُ الذَّهَابَ إِلَى أهْلِهِ ، وَبِاللهِ التَّوْفِيقُ .

 

অনুবাদ:হযরত ইবনে উমর রাযি.থেকে বর্ণিত , তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কাঁধে ধরে বললেন:দুনিয়ায় তুমি মুসাফির অথবা পথচারীর ন্যায় বসবাস করো। হযরত ইবনে উমর রাযি.বলতেন তুমি যখন সন্ধ্যা যাপন করো তখন তুমি সকালের অপেক্ষা (আশা) করো না এবং যখন ভোর যাপন করো তখন তুমি সন্ধ্যার অপেক্ষা (আশা) করো না। (বরং এ চিন্ত করো যে,হতে পারে সন্ধ্যা আগমনের পূর্বেই দুনিয়া থেকে আমার চলে যাওয়ার ডাক এসে যেতে পারে।)  তোমার সুস্থতা অবস্থায় তোমার অসুস্থতা অবস্থার জন্য কিছু সঞ্চয় কর। (অর্থাৎ সুস্থ অবস্থায় বেশি আমল করো, যেন অসুস্থতার সময়ের ঘাটতি পূরণ হয়ে যায়) এবং জীবন থেকে মৃত্যুর জন্য সঞ্চয় কর। (অর্থাৎ জীবিত অবস্থায় মৃত্যুর প্রস্তুতি গ্রহণ করো। সুতরাং দুনিয়াকে মাকছাদ তথা উদ্দেশ্যবস্তু বানিও না,বরং দুনিয়া এতটুকু অর্জন করো যা তোমার জন্য একান্ত জরুরী। আর বাকি সময়কে তুমি তোমার আসল জীবন তথা মৃত্যুর পরবর্তী জীবনের জন্য ইবাদতের মধ্যে ব্যয় করো।) -বুখারী শরীফ।
 
ব্যাখ্যাঃ মুহাদ্দিসীনে কেরাম আলোচ্য হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেন,তুমি মনে মনে এ কথা ভাব না যে, তুমি দুনিয়ায় চিরকাল থাকবে। তুমি দুনিয়ার প্রতি যতœবান হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করো না। দুনিয়ার সাথে তোমার সম্পর্ক হবে এই পরিমাণ, যে পরিমাণ সম্পর্ক রাখে একজন প্রবাসী ব্যক্তি অন্য দেশে থাকাবস্থায়। দুনিয়াতে তুমি এমন বস্তু নিয়ে মশগুল থেকো না, যে বস্তু নিয়ে মশগুল থাকে না  ঐ প্রবাসী ব্যক্তি; যে স্বদেশে স্বীয় পরিবার-পরিজনের কাছে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা রাখে।

দুনিয়ার প্রতি অনাসক্ত হওয়া এবং মানুষের কাছে যা আছে তা থেকে বিমুখ হওয়ার ফায়দা

 عن أَبي العباس سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ رضي الله عنه ، قَالَ  :جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النبي ﷺ ، فقالَ  :يَا رسولَ الله ، دُلَّنِي عَلَى عَمَلٍ إِذَا عَمِلْتُهُ أحَبَّنِي اللهُ وَأحَبَّنِي  النَّاسُ ، فقال  :(( ازْهَدْ في الدُّنْيَا يُحِبّك اللهُ ، وَازْهَدْ فِيمَا عِنْدَ النَّاسِ يُحِبّك   النَّاسُ )) حديث حسن رواه ابن ماجه وغيره بأسانيد حسنة .
 অনুবাদ:হযরত আবুল আব্বাস সাহ্ল রাযি.থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বলল ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনি আমাকে এমন আমল বাতলিয়ে দিন,যে আমল করলে আমাকে আল্লাহ্ ভাল বাসবেন এবং লোকেরাও ভাল বাসবে। উত্তরে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লøাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন“তুমি দুনিয়ার প্রতি অনাসক্ত/বিমুখ হও,তাহলে আল্লাহ্ তোমাকে ভাল বাসবেন এবং মানুষের কাছে যা আছে তা থেকে বিমুখ হও (অর্থাৎ তার প্রতি লোভ করো না।) তাহলে মানুষ তোমাকে ভাল বাসবে।
                                                 (ইবনে মাজাহ্ শরীফ।)                                             
                              
  রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীয় ইন্তেকালের সময় কোনো দীনার,দিরহাম এবং বাঁদী-গোলাম রেখে যাননি। তবে তিনটি বস্তু রেখে গিয়েছিলেন...
      عن عَمْروِ بْنِ الحارثِ أَخِيْ جُوَيْرِيَّة بِنْتِ الْحَارِثِ أُمِّ المُؤْمِنِينَ ، رضي الله عنهما ، قَالَ  :مَا تَرَكَ رسولُ الله ﷺ عِنْدَ مَوْتِهِ دِينارًا، وَلاَ دِرْهَمًا ، وَلاَ عَبْدًا، وَلاَ أَمَةً ، وَلاَ شَيْئًا إِلَّا بَغْلَتَهُ الْبَيضَاءَ الَّتي كَانَ يَرْكَبُهَا ، وَسِلاَحَهُ ، وَأرْضًا جَعَلَهَا لاِبْنِ السَّبِيْلِ صَدَقَةً . رواه البخاري .
 অনুবাদ:উম্মুল মু‘মিনীন হযরত জুওয়াইরিয়্যাহ্ বিনতে হারেসের ভাই আ‘মর ইবনে হারিস রাযি.বলেন “রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীয় ইন্তেকালের সময় কোনো দীনার,দিরহাম,গোলাম এবং বাঁদী রেখে যাননি। তবে তিনি (তিনটি বস্তু রেখে গিয়েছিলেন) (১) ঐ সাদা খচ্চর রেখে গিয়েছিলেন যার উপর তিনি আরোহন হতেন। (২) তার হাতিয়ার। (৩) কিছু জমি;যা তিনি মুসাফিরদের জন্য সদকা করে গিয়েছিলেন।                       (বুখারী শরীফ।)
 
চারটি বস্তু ব্যতীত দুনিয়া এবং দুনিয়াতে যা কিছু
আছে সবই অভিশপ্ত
       عن أَبي هريرة ؓ ، قَالَ  :سَمِعْتُ رَسُوْلَ الله ﷺ ، يقولُ  :(( أَلاَ  إنَّ الدُّنْيَا مَلْعُونَةٌ ، مَلْعُونٌ مَا فِيهَا ، إِلاَّ ذِكْرَ اللهِ تَعَالَى ، وَمَا وَالاهُ ، وَعالِمًا وَمُتَعَلِّمًا)) رواه الترمذي ، وقال  :(( حديث حسنٌ )) .
 অনুবাদ:হযরত আবু হুরাইরা রাযি.থেকে বর্ণিত তিনি বলেন আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি (তিনি বলেন,হে বিশ্ববাসী!) “শোনো! নি:সন্দেহে দুনিয়া এবং দুনিয়াতে যা কিছু আছে সবই অভিশপ্ত। তবে (চারটি বস্তু)  (১) আল্লাহ্র যিক্র। (২) আল্লাহ্র যিক্র এর সাথে সম্পৃক্ত বস্তু। (৩) আলেম। (৪) তালেবে ইল্ম তথা দ্বীনি/আসমানী ইলম অন্বেষণকারীগণ।
ব্যাখ্যাঃআলোচ্য চারটি জিনিস ছাড়া দুনিয়ার সব বস্তুই অভিশপ্ত। সুতরাং প্রকৃত জ্ঞানী তারা-ই, যারা এই চারটি বস্তু অর্জনে জীবন বিসর্জন দেয়। আল্লাহ্ তা‘আলা আমাদেরকে ছহীহ বুঝ দান করুন। আমীন।
 
  ভূসম্পত্তি  এবং অট্রালিকা নির্মাণে বিভোর হওয়া উচিৎ নয়
   عَن عبدِ اللهِ بْنِ مسعودٍ رضي الله عنه ، قَالَ  :قَالَ رسولُ اللهِ  ﷺ  :(( لَا تَتَّخِذُوا الضَّيْعَةَ فَتَرْغَبُوا  في الدُّنْيَا ))  رواه الترمذي ، وقال  :(( حديثٌ حسنٌ )) .
 অনুবাদ:হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ রাযি.থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন “তোমরা ভূসম্পত্তি (এবং অট্রালিকা নির্মাণ ও শিল্প কারখানা) এর মাঝে বিভোর হয়ে যেয়ো না। কেননা তাহলে তোমরা দুনিয়ার প্রতি আসক্ত হয়ে যাবে।
(তিরমিযী শরীফ। তিনি এ হাদীসকে حسن বলেছেন।
 ব্যাখ্যাঃ আলোচ্য হাদীসের উদ্দেশ্য এই নয় যে, দুনিয়ায় জীবন-যাপনের জন্য ক্ষেত-খামার করা যাবে না; বসবাসের সুবিধার জন্য অট্রালিকা নির্মাণ করা যাবে না। বরং এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো এগুলোর পিছনে এমনভাবে লেগে না যাওয়া যে, এর দ্বারা আল্লাহ্র বিধান পালনে প্রতিবন্ধক হয়।


  দুনিয়ার সাথে মানুষের সম্পর্ক ঐ আরোহীর ন্যায়, যে  ক্লান্ত হয়ে
গাছের ছায়াতলে বিশ্রাম নেয়; অতঃপরতা ছেড়ে চলে যায়...
 عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُوْد رضي الله عنه ، قَالَ  :نَامَ رسولُ اللهِ ﷺ عَلَى حَصِيْرٍ ، فَقَامَ وَقَدْ أثَّرَ في جَنْبِهِ ، قُلْنَا  :يَا رَسُولَ اللهِ ، لَوْ اتَّخَذْنَا لَكَ وِطَاءً . فَقَالَ  :(( مَا لِي وَلِلدُّنْيَا ؟ مَا أَنَا في الدُّنْيَا إِلَّا    كَرَاكِبٍ اسْتَظَلَّ تَحْتَ شَجَرَةٍ  ثُمَّ رَاحَ وَتَرَكَهَا ))
رواه الترمذي ، وقال  :(( حديث حسن صحيح )) .
 
অনুবাদ+ব্যাখ্যাঃ হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ রাযি.থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (একদা) একটি চাটাইয়ের উপর শুইলেন। অতঃপর তিনি এমন অবস্থায় উঠলেন যে, তাঁর পার্শদেশে চাটাইয়ের দাগ পড়ে গিয়েছিল। আমরা তাকে বললাম ইয়া রাসূলাল্লাহ্! (আপনার অনুমতি হলে) আমরা আপনার জন্য নরম একটি গদি বানিয়ে দেব। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন “আমার সাথে দুনিয়ার কী সম্পর্ক? আমি তো দুনিয়াতে ঐ আরোহীর ন্যায় (অর্থাৎ দুনিয়ার সাথে আমার সম্পর্ক ঐ আরোহীর মত) যে (ক্লান্ত হয়ে) গাছের ছায়াতলে বিশ্রাম নেয়। অতঃপর সে ঐ গাছটি ছেড়ে চলতে শুরু করে।                                 (তিরমিযী শরীফ।)

  দরিদ্র ব্যক্তিরা ধনীদের পাঁচশত বছর পূর্বে জান্নাতে প্রবেশ করবে

   عن أَبي هريرة ؓ ، قَالَ  :قَالَ رسولُ الله ﷺ  :(( يدْخُلُ الفُقَرَاءُ الْجَنَّةَ قَبْلَ لأَغْنِيَاءِ بِخَمْسِمِائَةِ عَامٍ ))    رواه الترمذي ، وقال  :(( حديث صحيح )) .
 অনুবাদ:হযরত আবু হুরাইরা রাযি. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ    দরিদ্র ব্যক্তিরা ধনীদের পাঁচশত বছর পূর্বে জান্নাতে প্রবেশ করবে।                              (তিরমিযী শরীফ।)


  জান্নাতের অধিকাংশ অধিবাসী হবে গরীব,জাহান্নামের
অধিকাংশ অধিবাসী হবে নারী
  عن ابن عباس وعِمْرَانَ بن ِ الحُصَيْنِ رَضيَ اللهُ عنُهما ، عن النبي ﷺ ، قَالَ  :(( اِطَّلَعْتُ في الجَنَّةِ فَرَأيْتُ أكْثَرَ أهْلِهَا الفُقَرَاءَ ، وَاطَّلَعْتُ في النَّارِ فَرَأيْتُ أكْثَرَ أهْلِهَا النِّسَاءَ )) متفقٌ عَلَيْهِ من رواية ابن عباس ، ورواه البخاري أيضا من رواية عِمْرَان بن الحُصَيْن .
 অনুবাদঃ হযরত ইবনে আব্বাস এবং হযরত ইমরান ইবনে হুছাইন রাযি.রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন,রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন “আমি জান্নাতে তাকিয়ে দেখলাম তার অধিকাংশ অধিবাসী হলো গরীব। আর জাহান্নামে তাকিয়ে দেখলাম তার অধিকাংশ অধিবাসী হলো নারী।”                      (বুখারী ও মুসলিম শরীফ।)
          ব্যাখ্যাঃ “জান্নাতে প্রবেশকারীদের অধিকাংশই নিঃস্ব ও দরিদ্র” এর দ্বারা উদ্দেশ্য এই নয় যে, দুনিয়ায় তারা নিঃস্ব ও দরিদ্র থাকার কারণে জান্নাতে প্রবেশ করেছে। বরং উদ্দেশ্য হলো দুনিয়ায় তারা গরীব ছিল,এর সাথে সাথে তারা আল্লাহ্র বিধি-বিধান অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করেছে। অন্যথায় শুধুমাত্র দারিদ্রতার কোনো  শ্রেষ্ঠত্ব নেই।         
(ফাতহুল বারীঃ খ-ঃ ১১ পৃঃ ৩১৪)
          মোটকথা আলোচ্য হাদীসের উদ্দেশ্য হলো,দুনিয়ায় যারা আল্লাহ্র ইবাদত বন্দেগী করে তাদের অধিকাংশ লোক সাধারণতঃ গরীবই হয়ে থাকে। ধনীরা আল্লাহ্র ইবাদত বন্দেগী কমই করে থাকে। এজন্যই জান্নাতের অধিকাংশ অধিবাসী এমন হবে,যারা দুনিয়ায় গরীব ছিল এবং তারা ইবাদত বন্দেগী করত। দুনিয়ায় গরীব থাকার কারণেই তারা জান্নাতী হবে এমন নয়
ফায়দাঃ আলোচ্য হাদীসে দুনিয়ার সুখ-শান্তি পরিত্যাগ করার প্রতি ইশারা রয়েছে। তদ্রƒপ নারীদেরকেও সতর্ক করা হয়েছে, দ্বীনের ব্যাপারে তাদের যতœশীল হওয়ার।
প্রশ্নঃ “জাহান্নামীদের অধিকাংশ নারী জাতি হবে”এর কারণ কী?
উত্তরঃ এক হাদীসে এসেছে,রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হলো,ইয়া রাসূলাল্লাহ্! “জাহান্নামীদের অধিকাংশ অধিবাসী হলো নারী জাতি” এর কারণ কী? উত্তরে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাদের কুফুরীর কারণে। আবার জিজ্ঞাসা করা হলো, নারীরা কি আল্লাহ্র সাথে কুফুরী করে? উত্তরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “তারা ইহ্সানের কুফুরী তথা অস্বীকার করে”। উদাহরণতঃ তাদেরকে তাদের স্বামী বা অপর কেউ উপকার বা অনুগ্রহ করলে পরবর্তীতে তারা তা স্বীকার করতে চায় না, বরং অনেক সময় তা অস্বীকার করে বসে। 


Previous Post Next Post