তায়াম্মুমের মাসাইল
০১। নিয়্যাত করা।
০২। সমস্ত মুখ একবার মাসাহ করা।
০৩। উভয় হাত কনুইসহ একবার মাসাহ করা।
তায়াম্মুমের সুন্নতসমূহ :
০১। শুরুতে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম বলা।
০২। পবিত্র মাটি বা মাটি জাতীয় বস্তুর উপর উভয় হাত মারা।
০৩। হাত মারার সময় আঙ্গুলগুলো খোলা রাখা।
০৪। উভয় হাত মাটিতে মেরে সামান্য আগে পিছে টানা।
০৫। মাটি হতে হাত উঠিয়ে মৃদু ঝাড়া দেয়া।
০৬। তারতীব মত মাসাহ করা অর্থাৎ প্রথমে মুখম-ল তারপর যথাক্রমে ডান হাত ও বাম হাত কনুইসহ মাসাহ করা।
০৭। মুখম-ল ও হাত মাসাহের মাঝে অন্য কোন কাজ না করা।
০৮। উভয় হাতের আঙ্গুল খেলাল করা।
যেসব বস্তু দ্বারা তায়াম্মুম করা জায়েয :
পবিত্র মাটি, পাথর, বালি, চুনা, মাটির তৈরী কাঁচা অথবা পাকা ইট, ইটের তৈরী দেয়াল, পাকা বাসন, লাকরী অথবা অন্য কোন পাক বস্তুতে ধুলা-বালি লেগে থাকলে এসব বস্তু দ্বারা তায়াম্মুম করা যাবে।
তায়াম্মুম জায়েয হবার সঙ্গত কারণসমূহ:
০১। পানি হতে এক মাইল বা এর চেয়েও দূরে হওয়া।
০২। পানির কূপ আছে কিন্তু পানি উঠানোর কোন ব্যবস্থা না থাকলে।
০৩। পানির নিকট কোন ক্ষতিকর প্রাণী অথবা কোন শত্রু থাকলে এবং কাছে গেলে কোন বিপদের আশংকা থাকলে।
০৪। রেলগাড়ী, উড়োজাহাজ অথবা মোটরগাড়ীতে আরোহণ অবস্থায় পানি না পাওয়া গেলে অথবা অযু করার সুযোগ না থাকলে।
০৫। পানি ব্যবহার করলে রোগবৃদ্ধি অথবা রোগ সৃষ্টি অথবা স্বাস্থ্যের উপর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির ভয় হলে।
তায়াম্মুম ভঙ্গের কারণ :
০১। যেসব কারণে অযু নষ্ট হয় ওইসব কারণে তায়াম্মুমও নষ্ট হয়।
০২। যেসব কারণে গোসল ফরজ হয় ওইসব কারণে তায়াম্মুমও নষ্ট হয়।
০৩। যেসব কারনে তায়াম্মুম করা হয়েছিল,ওইসব কারণ রহিত হয়ে গেলে তায়াম্মুম ভেঙ্গে যায়।
০৪। পানি পাওয়ার পর তায়াম্মুম ভেঙ্গে যায়।