উযুর মাসাইল

উযুর মাসাইল
মুফতি শামছুল ইসলাম 


উযুর ফরজ ৪ টি 
০১। সমস্ত মুখ একবার ধোয়া
০২। উভয় হাতের কনুইসমহ একবার ধোয়া
০৩। মাথার চার ভাগের এক ভাগ মাসাহ করা
০৪। উভয় পা গোড়ালীসহ একবার ধোয়া
             *সমস্ত মুখের সীমা হলো, মাথার চুলের গোড়া থেকে চিবুকের নীচে পর্যন্ত এবং এক                                  কানের লতি থেকে অপর কানের লতি পর্যন্ত।
             * উপরোক্ত চার ফরজের যে কোনো একটি ছুটে গেলে অথবা এক চুল পরিমাণও শুকনা 
                থাকলে উযু সহীহ হবে না।
উযুর সুন্নাত ও আদব:
০১। উযুর নিয়ত করা।
০২। بسم الله الرحمن الرحيم বলে উযু শুরু করা।
০৩। উভয় হাত কজ্বিসহ তিন তিন বার ধোয়া।
০৪। মিসওয়াক করা, যদি মিসওয়াক না থাকে তাহলে অঙ্গুলি দ্বারা দাঁত মাজা।
০৫। তিনবার কুলি করা।
০৬। তিনবার নাকে পানি দেয়া।
০৭। প্রতি বারই নাক ঝাড়া
০৮। মুখ ধোয়ার সময় দাড়ি খেলাল করা।
০৯। হাত ও পা ধোয়ার সময় আঙ্গুলসমূহ খেলাল করা।
১০। প্রত্যেক অঙ্গ তিনবার করে ধোয়া।
১১। সমস্ত মাথা একবার মাসাহ করা।
১২। উভয় কান একবার মাসহ করা।
১৩। উযুর অঙ্গসমূহ ডলে ডলে ধোয়া।
১৪। এক অঙ্গ ধোয়ার পর অন্য অঙ্গ ধৌত করতে দেরী না করা।
১৫। উযুর অঙ্গসমূহ ধোয়ার সময় ধারাবাহিকতা রক্ষা করা।
১৬। ডান দিকের অঙ্গ আগে ধোয়া।
১৭। উযুর মধ্যে মাঝে মাঝে এ দোয়া পড়া      اللهم اغفرلى ذنبى ووسع لى فى دارى وبارك لى فى رزقى  -
১৮। উযুর শেষে কালিমা-ই-শাহাদাত পড়া।
১৯। অত:পর এ দোয়া পড়া।
 اشهد ان لا اله  الا الله وحده لا شريك له وأشهد أن محمدا  عبده ورسوله   اللهم احعلنى من التوابين واجعلنى من المتطهرين 

  উযু ভঙ্গের কারণসমূহঃ
০১। পেশাব-পায়খানার রাস্তা দিয়ে কোনো কিছু বের হওয়া।
০২। শরীরের ক্ষতস্থান থেকে রক্ত, পুঁজ বা পানি বের হয়ে গড়িয়ে পড়া।
০৩। মুখ ভরে বমি হওয়া।
০৪। থুথুর সঙ্গে রক্তের ভাগ সমান বা বেশি হওয়া।
০৫। চিৎ বা কাৎ হয়ে হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে পড়া।
০৬। বেহুঁশ, পাগল ও মাতাল হওয়া।
০৭। রুকু সাজদার নামাযে উচ্চস্বরে হাসা।
উযূর পানিঃ
বৃষ্টির পানি, নদীর পানি, খাল-বিলের পানি, ঝর্ণার পানি, সমুদ্রের পানি, কুয়ার পানি, পুকুরের পানি, শহরের সাপ্লাইয়ের পানি, টিউবওয়েলের পানি। উল্লেখিত পানি সমূহের যে কোন প্রকার পানি দ্বারাই উযূ-গোসল জাইয (পানি মিঠা হোক বা লোনা হোক)।







Previous Post Next Post